দিপু দাসের মৃত্যু: রাষ্ট্র কি এখনো নীরব থাকবে?
দিপু দাস আর বেঁচে নেই। ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে তাঁকে প্রকাশ্যে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে—এই নির্মম সত্য এখন দেশের বিবেকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি
“In the darkness of the mind, every piece of knowledge is a treasure, but not all are illuminating lights! Only ‘thought’ can enlighten this rich yet dark state.”
দিপু দাস আর বেঁচে নেই। ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে তাঁকে প্রকাশ্যে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে—এই নির্মম সত্য এখন দেশের বিবেকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি
হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশের রাজপথ যেমন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল, তেমনি উত্তাল হয়ে উঠেছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও। কিন্তু এই ক্ষোভ যখন যুক্তির সীমা ছাড়িয়ে গিয়ে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের মতো
নিঝুম মজুমদারের কণ্ঠে সুরাহ রহমানের বিখ্যাত আয়াত জপ করে হাদির মৃত্যুকে প্রায় উদযাপন করা—কি ভয়ংকর হঠকারিতা। কিংবা আনিস আলমগীরের নেহারি খেতে খেতে হাদির ওপর সংঘটিত এই ন্যাক্কারজনক হামলাকে এক ধরনের
বরিশালের রাজনৈতিক অঙ্গনে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ আব্দুল্লাহ ভাইয়ের সঙ্গে অতীতে ঘটে যাওয়া যে কোন অবমাননাকর বা ঘৃণ্য আচরণ—তা ব্যক্তি হিসেবে হোক বা রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে—গভীর উদ্বেগ এবং তীব্র
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে বাউলরা শুধু একজন শিল্পী নন—তারা মানবতা, সাম্য, ভালোবাসা ও মুক্তচিন্তার জীবন্ত প্রতীক। লালন থেকে শুরু করে আজকের নতুন প্রজন্মের বাউলগান—এসব কিছুই আমাদের হাজার বছরের লোকজ ঐতিহ্যকে ধারণ
ধমভিত্তিক সন্ত্রাস, যাকে সাধারণত ‘জঙ্গি’ বলা হয়। বাংলাদেশে ছিনতাইসহ অন্যান্য সন্ত্রাসের বিস্তার থাকলেও আমরা স্বভাবতই ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাস নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। তার কারণ, এটি মতাদর্শের ভিত্তিতে (আইডিওলজিক্যাল) সংঘটিত হয়। একসময়ের বাম
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মধ্যরাতে এই নারী শিক্ষার্থীদের সাহস ও স্লোগানে যখন রাজপথ কাঁপছিল, তখন এই নারীদেরই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নানা ‘প্রতিকূলতা’র মধ্য দিয়ে
নারীর মুক্তি দরকার—কথাটা বললে এটা স্বীকার করে নেওয়া হয় যে ‘নারী বন্দী’। এরপর প্রশ্ন আসে, নারী বন্দী কার কাছে? নারী কি শুধুই পুরুষের কাছে বন্দী, নাকি সে নিজের কাছেও বন্দী?
বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থায় ধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্য দীর্ঘদিন ধরে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় উগ্রতা একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ প্রবণতা কেবল সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য
বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে মাজার অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে। সুফি সাধক ও অলিদের মাজার কেবল ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জায়গা নয়, বরং এগুলো ছিল এদেশে ইসলামের বিস্তার, লোকসংস্কৃতির বিকাশ এবং সামাজিক সহাবস্থানের
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিজেদের প্রভাব দেখিয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। পেশিশক্তি, জনশক্তি এবং সংগঠিত উপস্থিতির মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার যে চেষ্টা চলছে, তা
এবার আসেন পরাধীনতার অর্থটা একটু আরেকবার পাঠ করি। দেশে কে নির্বাচনে যাবে কে যাবেনা এটা যখন অন্য আরেকটা দেশ নির্ধারণ করতে শুরু করে, তখন তাকে পরাধীনতা বলে। আপনার মন্ত্রী সভায়
তোফায়েল আহমদ
সমাজের ধর্মীয় কুসংস্কার, জঙ্গীবাদ ও অনৈতিকতার এক অদম্য(অপ্রতিরোধ্য) ব্লগার লেখক ও সাংবাদিক ।ধর্ম ব্যবসায়ীদের মুখোষ উন্মোচন ও ধর্মান্ধতার কবলে পড়ে সমাজ ও জনজীবন বিধ্বংসকারী কার্যকলাপ থেকে মানুষকে রক্ষা করাই তার লেখার মূল ভাষ্য।।ব্লগার, লেখক ও সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, পিতা- আলী আহমদ ,মাতা-সফতেরা এর কনিষ্ঠ সন্তান। ১৯৯৭ সালের ২৯ ই মার্চ সিলেট জেলার সদর উপজেলার, ১ নং জালালাবাদ ইউনিয়নের রায়ের গাও গ্রামের এর একটি সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।পিতা আলী আহমদ ছিলেন এলাকার একজন সুনামধন্য ব্যাবসায়ী এবং মাতা সফতেরা গৃহিণী।
২০২০ সালে মদন মোহন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যুক্তিবিদ্যা বিভাগে (স্নাতক) পাশ করেন। স্কুল জীবন থেকেই তার মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। স্নাতক এ লেখা পড়ার পাশাপাশি ২০১৯ সালে তিনি সিলেটের সুনামধন্য পত্রিকা www.sonarsylhet.com এ রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করেন, এবং ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ব্লগের মাধ্যমে ধর্মীয় কুসংস্কার, ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি শুরু করেন। একাধারে তিনি তার ব্লগে প্রকাশিত করেন অসংখ্য অগ্নিঝরা প্রতিবাদী লেখা।
এছাড়াও তিনি অবদান রাখেন বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজে।পাশাপাশি তিনি ব্লাড সোলজার নামে একটি সংঘটনের সাথে যুক্ত আছেন যারা সমাজের অসহায় মানুষগুলোর বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতামূলক কাজ করে থাকে।